পশ্চিম বঙ্গে সিঙ্গুরই এখন প্রধান খবর। এবার রাজ্য কংগ্রেস তাদের সিঙ্গুর কর্মসূচি ঘোষণা করল। অন্যদিকে মমতা হুমকি দিলেন আরো জোরালো আন্দোলনের। এখন তিনি গান্ধিজির পথে অনশন করছেন, এরপর তিনি সুভাষের মতন 'দিল্লি চলো' আহবান দিতে চলেছেন। মেধা পাটেকর, অরুন্ধুতি রায়, মহাশ্বেতা দেবী সবাই কোমর বেধেঁ আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। আর এসএফআই এর সমাবেশে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়ে দিলেন যে তারাও পাল্টা প্রচারে নামবেন। মমতার আন্দোলনকে 'বাচ্চাদের মতন জেদ' বলে আখ্যা দিয়ে তিনি তৃণমূল নেত্রিকে আরো চটিয়ে দিলেন। মেধা পাটেকরকেও এক হাত নিলেন তিনি।
এদিকে দিল্লীতে মুখ্যমন্ত্রীদের মিটিংএ সবাই একমত হয়েছেন যে শিল্পায়নের জন্য কৃষি জমিতে হাত দিতেই হবে, তাছাড়া উপায় নেই। রাজ্য জুড়ে জমিতে চাষ না করে কি করে কম জমিতে উন্নত মানের চাষ প্রণালী প্রয়োগ করে ফলন বাড়ানো যায় তার দিকে নজর দিতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। এর থেকে পরিষ্কার যে মুখ্যমন্ত্রীও তার সরকারের সিঙ্গুর কর্মসূচি থেকে পিছু হটতে তৈরি নন। সব পক্ষেরই এক রাঁ - বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচঁগ্র মেদিনী। পশ্চিমবঙ্গের গরম হাওয়ার আঁচ দিল্লিতেও পাওয়া যাচ্ছে, আর মমতা নিজে গিয়ে সেই আঁচ আরো গনগনে করে তুলবেন আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশেও বেশ মেঘ দেখা যাচ্ছে। অবাক হয়ে দেখলাম যে একদিকে ডঃ ইউনুস হাসিমুখে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার নিলেন আর অন্য দিকে রাস্তায় সেনা মোতায়েন করার আজ্ঞা দিলেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ এখন সরগরম, দুই প্রধান দল, নির্বাচন উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির নানা কান্ডকারখানা নিয়ে।
সব মিলিয়ে দুই বাংলা এখন গরম হয়ে উঠেছে। রাজনীতির গরম, বড় গরম। তাই এই শীতে মনে হয় রঙিন সোয়েটর, মোজা, গ্লাভস, মাংকি ক্যাপ পরা বাঙালিকে আর দেখা যাবে না।
আবার কনফিউসিয়াস ভাইও রেগে গরম হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন। তার রাগের একটা কারণ হল যে ইটিভি বাংলায় সেনা মোতায়েনকে সেনা অভ্যুত্থান বলে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আমি বলি কি, রাগবেন না। আমার মনে হয় যিনি নিউজটা লিখেছেন, তিনি নিশ্চয় বাংলায় কাঁচা, দুটোর মধ্যে তফাতটা নিশ্চয় জানেন না, তাই কঠিন একটা শব্দ মাথায় আসতেই সানন্দে বসিয়ে দিয়েছেন। আপনি একটা চিঠি লিখে চ্যানেলে আপনার প্রতিবাদ জানান। কিন্তু প্লিজ, অনশন করবেন না।
3 comments:
বাংলাদেশের অবস্থা এবার ভালো হবার একটা সমভবনা আছে.
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেস্টা চমৎকার চালাচ্ছে। আমি খুশি!
বাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিগুলোকেও ধরে ধরে খাঁচায় যদি বন্ধ করতো!
অবাক হয়ে দেখলাম যে একদিকে ডঃ ইউনুস হাসিমুখে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার নিলেন আর অন্য দিকে রাস্তায় সেনা মোতায়েন করার আজ্ঞা দিলেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি।
কেন অবাক হলেন ঠিক বুঝলাম না।
Post a Comment