- পারিবারিক হিংসার ক্ষেত্রে পশ্চিম বঙ্গের স্থান দ্বিতীয়, অন্ধ্রপ্রদেশের পরেই। ২০০১ থেকে ২০০৫ এর মধ্যে আমাদের রাজ্যে পারিবারিক হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৮%।
- পণের দাবিতে বধূহত্যায় আমরা রয়েছি চতুর্থ স্থানে - উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশের পরেই
- মেয়ে পাচারের ক্ষেত্রে আমরা আছি বিহারের ঠিক পরেই। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মিলিত পরিসংখান দাড়াচ্ছে ৯০%! নদিয়া জেলা থেকে সব চেয়ে বেশি মেয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
- ২০০৫ সালে আমাদের রাজ্যে রিপোর্টেড রেপ কেস দাড়াচ্ছে ১৬৮৬টি যা ২০০৪ সালের থেকে প্রায় ১৩% বেশি।
- সমস্ত রকম নারী নির্যাতনের কেস যদি একসাথে দেখা হয় তাহলে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ৫ নম্বরে।
তবে মহিলা কমিশনের সদস্য মালিনি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে এটা ঠিক পরিস্কার নয় যে ক্রাইম বেশি ঘটছে না এখন বেশি সংখায় মহিলারা সাহস করে এগিয়ে এসে নির্যাতন, রেপ, এই ধরনের কেসগুলি রিপোর্ট করছেন। আমার মতে কারন যাই হোক না কেন, এটা পরিস্কার যে নারী নির্যাতনের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ বেশ এগিয়ে আছে।
(এটা যদি সত্যি হয় যে রাজ্যে বেশি সংখক মহিলারা নির্যাতনের মোকাবেলা করতে এগিয়ে আসছেন, তবে আশা রইল যে অবশেষে "সাইলেন্স এরাউন্ড ভায়োলেন্স" এর দিন শেষ হতে চলেছে। অফিসে আমার যে কলিগ্টি প্রায়ই তার বাড়িতে "আল্মারীতে গুতো" খেয়ে ব্ল্যাক আই নিয়ে অফিসে আসতো সেও হয়তো একদিন প্রতিবাদ করতে শিখবে। নতুন পাশ হওয়া পারিবারিক হিংসা আইন রিয়েল লাইফে কতটা কার্যকরি হয়ে পাশে এসে দাড়ায়, সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম)।
নারী পুরুষ শিশু নির্বিশেষে আমরা যেদিন সবাইকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিতে সক্ষম হব, সবাই মিলে যেদিন সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মতন বাঁচবো, সেদিনই আমরা আক্ষরিক অর্থে প্রগতিশীল বলে গণ্য হব, তার আগে নয়। আপনি কি বলেন?
No comments:
Post a Comment